Friday, 18 December 2015
Thursday, 10 September 2015
কিভাবে হাতের লেখা সুন্দর করা যায়?
হাতের লেখা সুন্দর হওয়াটা খুবই জরুরী। আধুনিক যুগে
লেখালেখি অনেক অফিসেই হয়না। সবাই কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্যাদি আদান প্রদান
করেন। কিন্তু অল্প করে হলেও সবাইকেই লিখতে হয়। এই যেমন সিগনেচার করার সময়
কিছু কমেন্ট, কিংবা পরীক্ষার সময় অথবা অটোগ্রাফ দেয়ার সময়। তাছাড়াও অনেক
কাজে লেখার দরকার হয়। এটা সার্বজনীন পদ্ধতি যা থেকে রেহাই নেই। তাই হাতের লেখা সুন্দর
করাটা প্রয়োজনীয়। তবে খারাপ হাতের লেখা নিয়ে যারা ইতিমধ্যেই নাজেহাল
অবস্থায় আছেন তাদের জন্য আমার এই লেখাটি কিছুটা হলেও কাজে লাগবে বলে আমার
বিশ্বাস। এবার আসি কাজের কথায়।
বিস্তারিত>
বিস্তারিত>
Sunday, 24 May 2015
কিভাবে ইমেইল লিখে মনোযোগ আকর্ষণ করবেন?
ইমেইল লিখার উদ্ধেশ্য হল প্রাপকের প্রতি বার্তা প্রেরণ। এই বার্তা যে কোন কিছুই হতে পারে। হতে পারে কোন শুভেচ্ছা কিংবা দু:সংবাদ। আমাদের দেশে যারা চাকুরী করেন তারা অনেকেই বিভিন্ন কাজে ইমেইল এ যোগাযোগ করেন। অথচ অনেকেই জানেন না কিভাবে একটি ইমেইল লিখে কারো মনোযোগ আকর্ষণ করা যায়।
কিভাবে একটি সুন্দর ডেইলি রুটিন বানাবেন?
ডেইলি রুটিনের গুরুত্ব কেমন তা বুঝানোর তেমন দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। তার কারন যে কেউ জানেন এই ডেইলি রুটিনের গুরুত্ব কতটুকু। যারা নিতান্তই অগোছালো তারাও এই রুটিনের কিছু কিছু পালন করেন। অনেকেই যদিও কোন রুটিন রাখেন না তবুও ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ কিংবা গোসল করা অথবা নাস্তা খাওয়া এর সবই রুটিন। কিন্তু এসব হয় মনে মনে। কোন প্রমান থাকে না। আচ্ছা ভাবুন তো লেখাপড়া কি স্কুল কলেজ ছাড়াও শেখা যায় না? অবশ্যই যায় তবু কেন স্কুল? অর্গানাইজড! স্কুলে কিংবা প্রতিষ্ঠানে একটি বাধ্যতামূলক রুটিনে পড়ানো হয়। এবং প্ল্যান অনুযায়ী এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ভাল ছাত্র হওয়ার উপায় বলতে সেই সুন্দর একটি ডেইলি রুটিনের কথাই চলে আসে।
আরো জানুন...
আরো জানুন...
কিভাবে ভুলের মাত্রা কমাবেন?
তাই বলে ভুলে যাবেন না যে এই ভুল সব কিছু সব সময় হতে দেয়া যাবে। ভুল যা করেছেন তা যেন আর না করতে হয় তার জন্য কাজ করাই ভাল। কিভাবে ভুলের মাত্রা কমাবেন? একটি সাধারন প্রশ্ন। উত্তরে আমি আরেকটা প্রশ্ন করতে চাই,কিভাবে আপনি ভুল করেন? আসুন দেখি এই বিষয়ে আর কি কি করা যায়।
আরো দেখুন...
আরো দেখুন...
Thursday, 9 April 2015
কিভাবে ঘুষের প্রচলন হয়েছে আর কিভাবে এর প্রতিরোধ করা যায়?
আজকের খবর, লালমনির হাটে এক কৃষক ঘুষের বিরুদ্ধে জনতাকে একত্রিত করার
জন্যে মাইকিং করছেন, কারন তিনি ভুমি অফিসের খাজনা দিতে গিয়ে একচুল পরিমান
কাজও শেষ করতে পারেন নি ঘুষের দাবি না পুরনের কারনে।
৬৫ বছর বয়সী রাজ মোহাম্মদ নামে ওই কৃষক মাইকে বলেন, ‘সবাই এখন ঘুষখোর। কেউ রাখে না কৃষকের খবর। সবাই আসুন ঘুষখোর অফিসারদের অফিসে তালা লাগাই।’
প্রতি উত্তরে অভিযোগ অস্বীকার করে মহিষখোচা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা জোবায়দুল ইসলাম বাংলামেইলকে বলেন, ‘কৃষক রাজ মোহাম্মদ অফিসে এসেছিল ঠিকই তবে তার কাছে কোনো ঘুষ দাবি করা হয় নি।’ এই পুরো খবরটি আজ মাত্র বাংলামেইল অনলাইনে পড়লাম।
ঘুষের ব্যাপারে জানেন না এমন মানুষের কথা চিন্তা করতে পারবেন? ঘুষ খেয়ে সাস্তি পেয়েছেন এমন লোকের সংখ্যাই কম কিসে? আসুন এবার আসি কিভাবে ঘুষের প্রচলন শুরু হয় আর কিভাবেই বা একে সমাজ থেকে দূরে ঠেলে দেয়া যায় সে বিষয়ে কিছু ধারনা নেই।
ধারনা করা যেতে পারে যখন মানুষের মাঝে ব্যবসা সংক্রান্ত আইডিয়া এসেছিল তার কিছু সময়ের মধ্যেই এই ঘুষের মত ব্যপারটিও চলে আসে। একটা সময় ছিল রাজা বাদসারা উপঢৌকুন পাঠিয়ে মন জয় করার চেষ্টা করতো। চাহিদাকে বাস্তবে রুপ দেয়ার জন্য অন্যায়ভাবে চেষ্টা করার প্রথম এবং সবচে' সহজ পদ্ধতির নাম ঘুষ অথবা ইংরেজীতে ব্রাইবেরী(Bribery)। কিভাবে ঘুষের প্রচলন হয়েছে তার সুপ্রাচীন ইতিহাস নেই বললেই চলে। তবে বানিজ্যিকিকরনের ফলে যে এর উতপত্তি তা অনেকেই স্বীকার করবেন।
বর্তমান সমাজে এর বিস্তৃতি কতটা তা বুঝিয়ে না বললেও চলে। একটু চোখ মেলে তাকালে দেখা যায় স্কুলে ডোনেশন, হাসপাতালে বখশিস/এক্সট্রা, সরকারী ব্যাঙ্কে কমিশন, বেসরকারী ব্যাঙ্কে সেলামী, পুলিশের নাস্তার টাকা, সরকারী আমলার পান বিড়ির টাকা এসব দিয়েই আমাদের সামাজিক জীবন দিব্যি শান্তিতে কাটিয়ে দিচ্ছি। এর মধ্যে সরকারি চাকুরী আগে কিছু টাকা ঘুষ দিলেই হয়ে যেত, এখন আর সেই সুযোগ নেই। কারন ঐ কিছু টাকার চেয়ে বেশি টাকা দেয়ার মত লোকের অভাব নেই, তাই মন্ত্রী টাইপের কেউ না বললে ঘুষ দিয়েও হচ্ছে না পিয়ন অথবা আয়ার চাকুরীটাও।
কিভাবে ঘুষের প্রচলন এত পরিমানে বাড়ল তা নিয়ে একটু চিন্তা করে দেখি, কি বলেন? এর জন্যে আমি পাটি গনিতের ঐকিক নীয়মের সাহায্য নিচ্ছি। বিরক্ত হয়ে যাবেন না যেন।
মনে করি আজ থেকে দশ বছর আগে বাংলাদেশে সরকারী চাকুরীর জন্যে পঞ্চাশ জন চাকুরী প্রার্থী একটি পদে আবেদন করেছিলেন। সেখানে লিখিত পরীক্ষায় প্রতি পদে দশজন করে পাশ করেছিলেন। লিখিত পরীক্ষার পর শারিরীক পরীক্ষায় পাচজন করে প্রতি পদে টিকে থাকলেন। এবার হবে মৌখিক পরীক্ষা। এখন একেকজনের জন্য থাকছে চারজন করে প্রতিদ্বন্ধী। এটার জন্য কেউই কেউই ঘুষ দিতে চাইলেন না কিন্তু একজন বুদ্ধিকরে প্রস্তাব দিলেন, কর্তৃপক্ষ রাজি হয়ে গেলেন, কারন কর্তৃপক্ষের কাছে এটা কঠিন একটা লোভনীয় ব্যাপার ছিল।
তার পরের বছর সেই কর্তৃপক্ষ কিছু বুদ্ধি বেশি খাটাবেন তো অবশ্যই। তিনি কায়দা কানুন করে এবার সহজ প্রশ্ন করলেন। লিখিত পরীক্ষায় এবার প্রতি পদে পঞ্চাশ জনেরো বেশি চান্স পেলেন। এবং প্রচার ভাল করায় এবার কর্তৃপক্ষের ব্যবসাটাও ভাল চলল।
এভাবে দশ বছরের চেষ্টায় এই লাইন যেহেতু সহজ এবং ঝামেলা মুক্ত, তাই হাসি খুশি নিয়ে আরো অনেকেই স্বেচ্চায় অনিচ্চায় এই সারিতে ভীড়ে গেলেন। ফলাফল হয়েছে বাংলাদেশে এখন কোথাও আর মেধার কিংবা লিগ্যাল কিছু আর নেই, যদি সেরকম কিছুর সন্ধান মিলে তবে সেখানে সমান সংখ্যক ভিড় তৈরী হবে এবং একই মন্ত্র পড়ে কর্তৃপক্ষ আরামে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।
সত্যি কথা বলতে কি, গ্রাহক নিজেই গ্রাহক সেবা পাওয়ার জন্য চাকরদেরকে ঘুষ দিয়ে মাথায় তুলেছেন। এখন আর নামাতে পারছেন না, কারন চাকর নিজেই এখন মনে করে মনিব। দশা সেই চলছে। তা না হলে দেখুন ভুমি অফিসে সরকারে খাজনা জমা দিতে গিয়ে তার কাছে দাবি করা হয় ঘুষ। ভাবতে কেমন লাগে, যে ঘুষ না দিলে সরকারি খাজনা জমা হবে না? আবার ওদের চাকুরীও যাবে না।
অন্যদিকে প্রাইভেট কোম্পানীতে যদি পাওনা আদায় না হয় তবে সেই অফিসারের চাকুরী ডিসমিস হয়। এখানেই ভাবনার বিষয়। কিভাবে এর শুরু আর বিস্তৃতি। ঘুষ এখন আর ঘুষ নয় প্রাপ্তিতে রুপ নিয়েছে।
কিভাবে ঘুষের প্রচলন বন্ধ করা যায়?
চালু হয়ে যাওয়া কোন কিছুই অল্প কথায় বন্ধ হয়ে যায় না। লালমনিরহাটের ঘটনায় জানা দেখা গেল অভিযোগের পালটা উত্তর প্রস্তুত থাকে। এসব অভিযোগ খুব বেশি আমলে নেয় না কেউই। কিন্তু উপায়? সাহসী না হলে এসব কাজে কোন পরিবর্তন হবে না। সরকারি কাজ সরকারি অফিসার করছে না এমন দেখলেই সাথে সাথে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রথমেই সাধারন নিয়মে কাজের প্রস্তাব দেয়া যেতে পারে। তারপর না শুনলে মোবাইলের ভিডিও অপশন ব্যবহার করা যেতে পারে। তার পরেও কাজ না হলে সেটা নিয়ে উর্দ্ধতন অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। যদি সন্তোষজনক কিছু না মেলে তবে যৌথ আন্দোলনে যেতে হবে। প্রথমেই সাংবাদিকদের সাথে শেয়ার করা যেতে পারে, এটা একাও করা যায়। সব প্রমান নিয়ে প্রেসক্লাবে গেলে বর্তমানের সংবাদ কর্মীরা অনেকেই খবর নোট করেন। সেখানেও ঘুষ খোর আছে তা কিন্তু মনে রাখতে হবে।
ঘুষখোরদের সামাজিকভাবে বঞ্চিত করতে হবে। কোনভাবেই তাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহন করা যাবে না।
এক টাকা ঘুষ নিলেও তা সবার মাঝে জানিয়ে দিতে হবে। ভিডিও শেয়ার করে সারাদেশে তাকে খারাপ হিসেবে আখ্যা দিতে হবে। শারিরিক কোন শাস্তি না দিয়ে মানষীকভাবে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
প্রয়োজনে লালমনির হাটের ওই কৃষকের মত মাইকিং করে প্রতিবাদ করতে হবে। তবেই এই ব্যাধি দূর হবে এই সমাজ থেকে।
আরো জানার জন্যে বাংলাদেশের ঘুষ দেয়া নেয়ার যে আইন প্রচলিত আছে তা দেখতে পারেন।
http://bdlaws.minlaw.gov.bd/pdf/217___.pdf
৬৫ বছর বয়সী রাজ মোহাম্মদ নামে ওই কৃষক মাইকে বলেন, ‘সবাই এখন ঘুষখোর। কেউ রাখে না কৃষকের খবর। সবাই আসুন ঘুষখোর অফিসারদের অফিসে তালা লাগাই।’
প্রতি উত্তরে অভিযোগ অস্বীকার করে মহিষখোচা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা জোবায়দুল ইসলাম বাংলামেইলকে বলেন, ‘কৃষক রাজ মোহাম্মদ অফিসে এসেছিল ঠিকই তবে তার কাছে কোনো ঘুষ দাবি করা হয় নি।’ এই পুরো খবরটি আজ মাত্র বাংলামেইল অনলাইনে পড়লাম।
ঘুষের ব্যাপারে জানেন না এমন মানুষের কথা চিন্তা করতে পারবেন? ঘুষ খেয়ে সাস্তি পেয়েছেন এমন লোকের সংখ্যাই কম কিসে? আসুন এবার আসি কিভাবে ঘুষের প্রচলন শুরু হয় আর কিভাবেই বা একে সমাজ থেকে দূরে ঠেলে দেয়া যায় সে বিষয়ে কিছু ধারনা নেই।
ধারনা করা যেতে পারে যখন মানুষের মাঝে ব্যবসা সংক্রান্ত আইডিয়া এসেছিল তার কিছু সময়ের মধ্যেই এই ঘুষের মত ব্যপারটিও চলে আসে। একটা সময় ছিল রাজা বাদসারা উপঢৌকুন পাঠিয়ে মন জয় করার চেষ্টা করতো। চাহিদাকে বাস্তবে রুপ দেয়ার জন্য অন্যায়ভাবে চেষ্টা করার প্রথম এবং সবচে' সহজ পদ্ধতির নাম ঘুষ অথবা ইংরেজীতে ব্রাইবেরী(Bribery)। কিভাবে ঘুষের প্রচলন হয়েছে তার সুপ্রাচীন ইতিহাস নেই বললেই চলে। তবে বানিজ্যিকিকরনের ফলে যে এর উতপত্তি তা অনেকেই স্বীকার করবেন।
বর্তমান সমাজে এর বিস্তৃতি কতটা তা বুঝিয়ে না বললেও চলে। একটু চোখ মেলে তাকালে দেখা যায় স্কুলে ডোনেশন, হাসপাতালে বখশিস/এক্সট্রা, সরকারী ব্যাঙ্কে কমিশন, বেসরকারী ব্যাঙ্কে সেলামী, পুলিশের নাস্তার টাকা, সরকারী আমলার পান বিড়ির টাকা এসব দিয়েই আমাদের সামাজিক জীবন দিব্যি শান্তিতে কাটিয়ে দিচ্ছি। এর মধ্যে সরকারি চাকুরী আগে কিছু টাকা ঘুষ দিলেই হয়ে যেত, এখন আর সেই সুযোগ নেই। কারন ঐ কিছু টাকার চেয়ে বেশি টাকা দেয়ার মত লোকের অভাব নেই, তাই মন্ত্রী টাইপের কেউ না বললে ঘুষ দিয়েও হচ্ছে না পিয়ন অথবা আয়ার চাকুরীটাও।
কিভাবে ঘুষের প্রচলন এত পরিমানে বাড়ল তা নিয়ে একটু চিন্তা করে দেখি, কি বলেন? এর জন্যে আমি পাটি গনিতের ঐকিক নীয়মের সাহায্য নিচ্ছি। বিরক্ত হয়ে যাবেন না যেন।
মনে করি আজ থেকে দশ বছর আগে বাংলাদেশে সরকারী চাকুরীর জন্যে পঞ্চাশ জন চাকুরী প্রার্থী একটি পদে আবেদন করেছিলেন। সেখানে লিখিত পরীক্ষায় প্রতি পদে দশজন করে পাশ করেছিলেন। লিখিত পরীক্ষার পর শারিরীক পরীক্ষায় পাচজন করে প্রতি পদে টিকে থাকলেন। এবার হবে মৌখিক পরীক্ষা। এখন একেকজনের জন্য থাকছে চারজন করে প্রতিদ্বন্ধী। এটার জন্য কেউই কেউই ঘুষ দিতে চাইলেন না কিন্তু একজন বুদ্ধিকরে প্রস্তাব দিলেন, কর্তৃপক্ষ রাজি হয়ে গেলেন, কারন কর্তৃপক্ষের কাছে এটা কঠিন একটা লোভনীয় ব্যাপার ছিল।
তার পরের বছর সেই কর্তৃপক্ষ কিছু বুদ্ধি বেশি খাটাবেন তো অবশ্যই। তিনি কায়দা কানুন করে এবার সহজ প্রশ্ন করলেন। লিখিত পরীক্ষায় এবার প্রতি পদে পঞ্চাশ জনেরো বেশি চান্স পেলেন। এবং প্রচার ভাল করায় এবার কর্তৃপক্ষের ব্যবসাটাও ভাল চলল।
এভাবে দশ বছরের চেষ্টায় এই লাইন যেহেতু সহজ এবং ঝামেলা মুক্ত, তাই হাসি খুশি নিয়ে আরো অনেকেই স্বেচ্চায় অনিচ্চায় এই সারিতে ভীড়ে গেলেন। ফলাফল হয়েছে বাংলাদেশে এখন কোথাও আর মেধার কিংবা লিগ্যাল কিছু আর নেই, যদি সেরকম কিছুর সন্ধান মিলে তবে সেখানে সমান সংখ্যক ভিড় তৈরী হবে এবং একই মন্ত্র পড়ে কর্তৃপক্ষ আরামে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।
সত্যি কথা বলতে কি, গ্রাহক নিজেই গ্রাহক সেবা পাওয়ার জন্য চাকরদেরকে ঘুষ দিয়ে মাথায় তুলেছেন। এখন আর নামাতে পারছেন না, কারন চাকর নিজেই এখন মনে করে মনিব। দশা সেই চলছে। তা না হলে দেখুন ভুমি অফিসে সরকারে খাজনা জমা দিতে গিয়ে তার কাছে দাবি করা হয় ঘুষ। ভাবতে কেমন লাগে, যে ঘুষ না দিলে সরকারি খাজনা জমা হবে না? আবার ওদের চাকুরীও যাবে না।
অন্যদিকে প্রাইভেট কোম্পানীতে যদি পাওনা আদায় না হয় তবে সেই অফিসারের চাকুরী ডিসমিস হয়। এখানেই ভাবনার বিষয়। কিভাবে এর শুরু আর বিস্তৃতি। ঘুষ এখন আর ঘুষ নয় প্রাপ্তিতে রুপ নিয়েছে।
কিভাবে ঘুষের প্রচলন বন্ধ করা যায়?
চালু হয়ে যাওয়া কোন কিছুই অল্প কথায় বন্ধ হয়ে যায় না। লালমনিরহাটের ঘটনায় জানা দেখা গেল অভিযোগের পালটা উত্তর প্রস্তুত থাকে। এসব অভিযোগ খুব বেশি আমলে নেয় না কেউই। কিন্তু উপায়? সাহসী না হলে এসব কাজে কোন পরিবর্তন হবে না। সরকারি কাজ সরকারি অফিসার করছে না এমন দেখলেই সাথে সাথে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রথমেই সাধারন নিয়মে কাজের প্রস্তাব দেয়া যেতে পারে। তারপর না শুনলে মোবাইলের ভিডিও অপশন ব্যবহার করা যেতে পারে। তার পরেও কাজ না হলে সেটা নিয়ে উর্দ্ধতন অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। যদি সন্তোষজনক কিছু না মেলে তবে যৌথ আন্দোলনে যেতে হবে। প্রথমেই সাংবাদিকদের সাথে শেয়ার করা যেতে পারে, এটা একাও করা যায়। সব প্রমান নিয়ে প্রেসক্লাবে গেলে বর্তমানের সংবাদ কর্মীরা অনেকেই খবর নোট করেন। সেখানেও ঘুষ খোর আছে তা কিন্তু মনে রাখতে হবে।
ঘুষখোরদের সামাজিকভাবে বঞ্চিত করতে হবে। কোনভাবেই তাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহন করা যাবে না।
এক টাকা ঘুষ নিলেও তা সবার মাঝে জানিয়ে দিতে হবে। ভিডিও শেয়ার করে সারাদেশে তাকে খারাপ হিসেবে আখ্যা দিতে হবে। শারিরিক কোন শাস্তি না দিয়ে মানষীকভাবে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
প্রয়োজনে লালমনির হাটের ওই কৃষকের মত মাইকিং করে প্রতিবাদ করতে হবে। তবেই এই ব্যাধি দূর হবে এই সমাজ থেকে।
আরো জানার জন্যে বাংলাদেশের ঘুষ দেয়া নেয়ার যে আইন প্রচলিত আছে তা দেখতে পারেন।
http://bdlaws.minlaw.gov.bd/pdf/217___.pdf
Thursday, 12 March 2015
কিভাবে প্রেম করবেন, কেন করবেন আর কেন করবেন না!
মানুষের জীবনে প্রেমের অবদান কতখানি তা বলে দেয়া মুশকিল। তবে এটা বলা যায় কেউ তার জীবন চিন্তা করতে পারেন না প্রেম ছাড়া। প্রেমের বিস্তর উদাহরণ আছে, লাইলি মজনু, শিরি ফরহাদ এসব আদি যুগের প্রেম। কয়েকযুগ আগের প্রেম বলতে চিঠি পত্র কিংবা সিনেমায় দেখা কালজয়ী প্রেম বেঁদের মেয়ে জ্যোৎস্না এসব। আরো কিছু আছে যা এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না।
চলে আসি আধুনিক যুগের এই ২০১৫ সালের প্রেম পরিস্থিতিতে। পুরনো দিনের ভাল মন্দ আজ আবার নতুন দিনে ঠিক কী রূপ নিয়েছে তা জানা আছে সকলের-ই। তবু আজ প্রেম যে কেমন অস্বাভাবিক রূপ পেয়েছে তা বিজ্ঞরাই ভাল বলতে পারেন। আমি শুধু বলতে পারি স্বাভাবিক ভাবে একজন তরুণ একজন তরুণীর সাথে কিভাবে প্রেম করবেন – এই বিষয়ে।
কিভাবে প্রেম করবেনঃ প্রেম এমন এক বিশাল ব্যপার যেটা টেকনোলজি দিয়ে করে ফেলা যায় না। কোন দিন কোন একটি টেকনিক কাজ করলেও অন্যদিন তা নাও করতে পারে। তবে ভাল প্ল্যান আর পরিশ্রম করলে এই বিষয়ে কিছুটা সহজ হয়।
প্রেম কি করতেই হবে?
এই প্রশ্ন জরুরী। আপনি প্রেম কেন করবেন? প্রেম না করে আপনার চলে কি না সেটা দেখতে হবে। যদি ব্যক্তি জীবনে প্রচণ্ড অস্থির লাগে তবে প্রেম করাই ভাল, কিন্তু দেখবেন যদি আপনি ভাল কিছু কাজে সময় ব্যয় করতে চান, তবে ওসবে গা না ভাসালেও চলবে। তবে প্রেম করে লাভ যেমন ক্ষতিও তেমনি। বুঝে শুনে প্রেম করুন। ক্ষতির দিকটা ভাবুন।
ভেবে বের করুন আপনার ভাল লাগে কাকে?
প্রেম করার জন্য ভাল লাগাটা জরুরী। কাকে ভাল লাগে? সে কে? যে কোন মানুষের আশে পাশে অনেক মানুষ থাকে। আত্মীয় বন্ধু বান্ধব এছাড়াও কলেজে জুনিয়র সিনিয়র কত মানুষ। এর মধ্যে কে একজন অবশ্যই আছে যাকে অন্য সবার কাছ থেকে ভিন্ন মনে হয়। খুঁজে বের করতে হবে কে সে? যদি এমন হয় যে যাকে ভাল লাগছে সে আরো একজনের সাথে প্রেম করেই যাচ্ছে তাহলে এখানেই শেষ করে ফেলা উচিত।
পছন্দের কারন বের করুন- যার সাথে প্রেম করবেন বলে ঠিক করে ফেলেছেন তাকে কেন আপনি পছন্দ করলেন তার কারন বের করুন। সে কেন আপনাকে এত আকর্ষন করে? শারীরিক কাঠামো কিংবা সৌন্দর্য? যদি শুধু তাই হয় তবে আরেকবার ভাবুন এই প্রেমের বাস্তবিকতা পুর্ন হবে কিনা। সে কি জীবনে খাপ খেয়ে যাবে না কি আরো বেশি যন্ত্রণাদায়ক হবে।
তাকে ফলো করুন – একজন মানুষকে জানার জন্য তার সাথে কিছু সময় দিতে হয়। যদি বোঝা যায় সে আপনাকে নয় অন্য কোন কারণে খুব বেশি ব্যস্ত তবে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলুন। প্রেম করবেন আর এই সুবিধাটা নিবেন না? তাই খুব চিন্তা ভাবনা করে বের করুন কিভাবে আপনি তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন। না জানলে পরে পস্তাবেন।
রেস্পেক্ট- প্রেমের জন্য নয় জীবনের জন্যই যদি কোন বন্ধুও দরকার হয় তবে মনে রাখবেন যার সাথে সম্পর্ক হচ্ছে সে আপনাকে রেস্পেক্ট করে কি না। কিভাবে প্রেম করবেন তা জানার আগেই জেনে নিন কিভাবে বুঝবেন তিনি আপনাকে রেস্পেক্ট করে কি-না।
প্রস্তাবনাঃ প্রেম করার ক্ষেত্রে কাউকে না কাউকে আগে এগিয়ে আসতে হয়। দুজনেই যদি লজ্জা পেয়ে বসে থাকেন তবে কোন দিন প্রেম হবেই না। কেউ কেউ মনে করেন মেয়েরা প্রস্তাব দিলে জাত যায়। আজকাল অনেকই জাত পাত সবই হারাচ্ছেন অযথাই। তাই মেয়েরা কিছুটা টেকনিক অনুসরণ করে ছেলেদের দিয়েই প্রস্তাব করাতে পারেন। এক্ষেত্রে বেশি বেশি বন্ধুত্বপুর্ন আচরণ কিংবা হেল্প কিংবা ব্যক্তিগত বিষয়ে জানাশোনা। এসব কিছুই হতে পারে হাত্যার। তবে সাবধান। কখনো ছেলেদের কঠিন চরম দাবি মানতে যাবেন না। সতর্ক থাকুন এটা ২০১৫ সালে কেউ অত বোকা নেই।
ছেলেরা অবশ্যই মেয়েদের আগে থেকে প্রস্তাব দিতে পারেন। কিন্তু মাথায় রাখবেন আজকাল অনেক মেয়েই আন্ডারগ্রাউন্ড কর্মী। তাই যত পারেন বাজিয়ে নিন। প্রেম করুন কিন্তু না জেনে একটুও এগোবেন না। আজকাল অনেক ঘটনাই ঘটে যাচ্ছে টাকা আত্মসাৎ সহ অনেক কিছু।
আজকাল বেশিরভাগ দেখা যায় পরকীয়া হচ্ছে। ব্যপারটা খুব বাড়াবাড়ি পর্যায়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বাস আর মূল্যবোধ কিছুই থাকছে না। তাই এই বিষয়ে আরো সতর্ক থাকা জরুরী।
Subscribe to:
Posts (Atom)